'সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণের জন্য উন্নয়ন নীতি ঋণ'-এর আওতায় এ সহায়তা দেবে দেশটি।
জাপানের ৪৪তম ওডিএ ঋণ প্যাকেজের (প্রথম ধাপ) আওতায় মঙ্গলবার (২৭ জুন) এই বাজেট সহায়তা ঋণের জন্য দুই দেশের সরকারের মধ্যে 'এক্সচেঞ্জ অভ নোটস' ও 'লোন এগ্রিমেন্ট' স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান বাংলাদেশের পক্ষে নথিপত্রে স্বাক্ষর করেন। অন্যদিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এবং জাইকা বাংলাদেশ অফিস-এর প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদে জাপানের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন।
এ ঋণের সুদহার ধরা হয়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। আর ফ্রন্ট এন্ড ফি (এককালীন) ০ (শূন্য) দশমিক ১ শতাংশ। ঋণ পরিশোধের সময়কাল ৩০ বছর, এর মধ্যে ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ড রয়েছে।
এর আগে জাপান সরকার ২০২০ ও ২০২১ সালে দুইবার মোট ৬৮৫ মিলিয়ন ইয়েন (৪.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বাজেট সহায়তা দিয়েছিল। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন অংশীদার জাপান।
জাপানের দেওয়া ঋণ এবং অন্যান্য আর্থিক সহায়তা বিদ্যুৎ, সড়ক, সেতু, টেলিযোগাযোগ, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, গ্রামীণ উন্নয়ন, পরিবেশ, মানব সম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদি খাতে ব্যয় করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে জাপান ঢাকাকে ৩০.১২ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে।