শিল্পসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কাজের ধরন অনুযায়ী কিছু শিল্প-কারখানা, যেমন সুতা উৎপাদনকারী স্পিনিং মিল সচল রাখতে হয়। একবার বন্ধ হলে এ ধরনের কারখানা পুনরায় সচল করার বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। তাই একটি নির্দিষ্ট বিভাগ সক্রিয় রাখতে হয় স্পিনিং মিলে। মূলত এ কারখানাগুলো ঈদের ছুটিতেও খোলা রাখতে হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আশুলিয়া এলাকায় ছুটি দেয়া হবে না এমন কারখানা রয়েছে ১১টি এবং গাজীপুরে ২৮টি। চট্টগ্রামে ছুটি হবে না ১১টি কারখানায়। এছাড়া ময়মনসিংহ ও খুলনায় যথাক্রমে ১৪ ও ৭টি কারখানার শ্রমিক-কর্মকর্তাদেরও একটি অংশ এবার ঈদের ছুটি পাচ্ছেন না। তবে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও সিলেটের সব কারখানাই বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।
দেশে শিল্প অধ্যুষিত অঞ্চল আটটি —আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, কুমিল্লা ও সিলেট। এসব এলাকায় মোট কারখানা রয়েছে ৯ হাজার ৯১৫টি। যার মধ্যে তৈরি পোশাক, বস্ত্র ও পাট উদ্যোক্তাদের সংগঠন এবং রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) অধিভুক্ত মিলিয়ে মোট কারখানা আছে ৩ হাজার ১৬৪টি। এ কারখানাগুলোই মূলত শ্রমঘন। বাকি ৬ হাজার ৭৫১টি কারখানা কোনো সংগঠন বা কর্তৃপক্ষের আওতায় নেই।
সূত্র জানিয়েছে, আট শিল্প এলাকায় আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত ছুটি হয়েছে এমন কারখানা ৯ হাজার ৬০১টি। এর মধ্যে আশুলিয়ায় ১ হাজার ৭৮১টি, গাজীপুরে ২ হাজার ১৬৯টি। চট্টগ্রামে ছুটি হয়েছে এমন কারখানা ১ হাজার ৪৬৯টি, নারায়ণগঞ্জে ছুটি হয়েছে ২ হাজার ২০৭ টিতে, ময়মনসিংহে ছুটি হয়েছে ২৬৬টি কারখানা। এছাড়া খুলনায় ৬০২টি, কুমিল্লায় ৩৬৭ ও সিলেটে ছুটি হয়েছে এমন কারখানার সংখ্যা ৭৪০।