প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, এ বছর আট বিভাগেই অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পশু বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। অনলাইনে মোট পশু বিক্রি হয়েছে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬টি। এরমধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি ৮৪ হাজার গরু বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ২১ হাজার ৯০২ টি ছাগল-ভেড়া বিক্রি হয়েছে।
জানা গেছে, ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬টি পশু বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ২৩১ কোটি ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। অনলাইনে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৪২০টি গরু এবং ৮৪ হাজার ৫৪টি ছাগল-ভেড়ার দামসহ ছবি আপলোড করা হয়। সেখান থেকেই ক্রেতারা পছন্দের পশুটি বেছে নিয়েছেন।
অন্যদিকে, এ বছর পশু বিক্রির আগে থেকেই সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বলা হয়, অনলাইনে আপলোড করা পশুর ছবির সঙ্গে বাস্তবে মিল না থাকলে ক্রেতা সেটি গ্রহণ করবেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও সতর্ক করা হয়। এর ফলে অনলাইনে পশু বিক্রিতে প্রতারণা কিছুটা কমেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০২১ সালে করোনা মহামারিকালীন ডিজিটাল হাট জেলা পর্যায় পর্যন্ত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত গবাদি পশু বিক্রেতাদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রিতে বড় অবদান রেখেছে। এ প্ল্যাটফর্ম কোনো ধরনের ফি না নিয়েই অর্ডার নেওয়া থেকে শুরু করে বিক্রির অর্থ প্রক্রিয়াকরণ, পশু সরবরাহ এবং বিক্রেতার অর্থ পরিশোধ পর্যন্ত সবকিছু করেছে।
ই-ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম শোভন বলেন, শুধু অনলাইন পেমেন্ট প্রসেসিং ফি বাবদ ২ শতাংশের কম টাকা নেওয়া হয়েছে। একটি বাণিজ্যিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম না হয়েও ডিজিটাল হাট ২০২২ সালেও একই পদ্ধতিতে অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি করেছে।