মঙ্গলবার (৪ জুলাই) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ সব তথ্য জানান।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভবিষ্যতে বিমান বাহিনীতে যুগোপযোগী ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর আলোকে উন্নত প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান ক্রয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া বাজেট বরাদ্দের উপর ভিত্তি করে নৌবাহিনীতে পর্যায়ক্রমে ফ্রিগেট, করভেট, অফসোর পেট্রোল ভেসেল (ওপিভি), মাইন কাউন্টার মেজর ভেজেল (এমসিএমভি), লার্জ পেট্রোল ক্রাফট (এলপিসি), ওশান টাগ, হারবার টাগ, ওয়েল ট্যাংকার, লজিস্টিক শিপ, ফ্লোটিং ক্রেন, হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে ভেসেল ও হোভার ক্রাফট সংযুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মমতা হেনা লাভলীর প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের অধীনে কোনো ভূ-কম্পন জরিপ কেন্দ্র নেই। তবে এর অধীনে বর্তমানে দেশের ১৩টি স্থানে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ডিজিটাল যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ ভূ-কম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র আছে। স্থানগুলো হচ্ছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, পঞ্চগড়, বরিশাল, খাগড়াছড়ি ও নেত্রকোণা। এছাড়াও টেকটোনিক প্লেটের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রংপুর ও কুমিল্লায় গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) স্থাপন করা হয়েছে।
একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং ভূমিকম্পের ঝুঁকি অবস্থা বিবেচনায় জিপিএসসহ ভূ-কম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে।