বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট বন্ধের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে নিয়মিত বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক সরবরাহ শেষ হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে নিয়মিত ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যু জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হবে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। তবে বন্ধ থাকা প্রথম ইউনিট কবে চালু হবে তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টটির ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চালু আছে। ইতোমধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দ্বিতীয় ইউনিটের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। গত ২৮ জুন সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট জাতীয় গ্রিডে সফলভাবে যুক্ত করা হয়েছে। আগস্ট মাস থেকে এই ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়মিত জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।
বিআইএফপিসিএল’র প্রকল্প পরিচালক অতনু দত্ত বলেন, কৌশলগত পরিকল্পনা এবং প্রকল্পে কর্মরত সদস্যদের সার্বক্ষণিক কঠোর পরিশ্রমের ফলে রেকর্ড সময়ের মধ্যে আমরা দ্বিতীয় ইউনিট চালু করতে সক্ষম হয়েছি। এখন দ্বিতীয় ইউনিটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশের জনগণ এই ইউনিটের বিদ্যুৎ পাবে।
বিআইএফপিসিএল‘র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ আকরাম উল্লাহ বলেন, মৈত্রী প্রকল্প বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব ও দৃঢ় বন্ধনের প্রতীক। দেশ-বিদেশের কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিশেষজ্ঞদের প্রচেষ্টায় আমরা দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে।
অর্থসংবাদ/এসএম