মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিএসইসির ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত নির্দেশনাটি বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে।
বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুক আল ইসতিনার প্রসপেক্টাস অনুযায়ী, একাধিক ধাপে এই সুকুকের বিভিন্ন অংশ সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর করা হবে। এছাড়া প্রতিবার শেয়ারে রূপান্তরের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে আগাম অনুমোদন নিতে হবে। তবে এই নির্দেশনার মাধ্যমে বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুক আল ইসতিনাকে এ শর্ত পরিপালন থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিএসইসি।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, সুকুক ইস্যুকারী কোম্পানি হিসেবে বেক্সিমকো লিমিটেডকে এখন থেকে সুকুককে সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরের ক্ষেত্রে সম্মতিপত্রে শর্তানুসারে বিএসইসির অনুমোদন নিতে হবে না। তবে শেয়ার ইস্যুর পর পরই এ বিষয়ে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। কমিশন ১৯৬৯ সালের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্সের ২৯ নম্বর ধারার ক্ষমতাবলে এ বিধান থেকে বেক্সিমকো লিমিটেডকে অব্যাহতি দিয়েছে। এ অব্যাহতি শুধু সুকুককে শেয়ারে রূপান্তরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ সুকুক ছাড়া অন্যা কোনো কারণে কোম্পানিটি শেয়ার ইস্যু করতে চাইলে কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে।
উল্লেখ্য, এ সুকুক বন্ডের বিনিয়োগকারীদের কাছে থাকা সুকুকের শতভাগ বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি বছর সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে সুকুককে শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে। গুণিতক হারে অর্থাৎ ৫, ১০, ১৫ ও ২০ শতাংশ হারে রূপান্তরের সুযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে প্রথম বছরে বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুক আল ইসতিসনার ৫ শতাংশ সুকুক শেয়ারে রূপান্তর করেছেন বিনিয়োগকারীরা। রূপান্তরিত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্সেও (বিও) পাঠানো হয়েছে।