চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে সমপরিমাণ রিটার্ন দিয়েছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের শেয়ারবাজার। গ্রিন ডেল্টা ড্রাগন অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, বছরের প্রথম ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৩-জুন’২৩) পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার থেকে রিটার্ন পেয়েছে ২ দশমিক ২০ শতাংশ। অপরদিকে পাকিস্তানের বিনিয়োগকারীরাও দেশটির পুঁজিবাজার থেকে সমপরিমাণ রিটার্ন পেয়েছেন।
আলোচ্য সময়ে বৈশ্বিক পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন পেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীরা। দেশটির বিনিয়োগকারীরা গত ৬ মাসে ১৫ দশমিক ৯০ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছে। ২০২৩ সালের জুন শেষে নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ‘এস অ্যান্ড পি ৫০০’ অবস্থান করছে ৪ হাজার ৪৫০ পয়েন্টে।
বিনিয়োগাকারীদের রিটার্ন দেয়ার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। ৬ মাসে হো চি মিন স্টক এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগকারীরা ১১ দশমিক ৪০ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছেন। জুন শেষে দেশটির ‘ভিএনআই ৩০’ সূচক অবস্থান করছে ১ হাজার ১২৩ পয়েন্টে। তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করা দেশ শ্রীলঙ্কা। দেশটির পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা গত ৬ মাসে ১১ দশমিক ১০ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছেন।
প্রতিবেশী দেশ ভারত বিনিয়োগকারীদের রিটার্ন দেয়ার তালিকায় চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে বোম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগকারীরা ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছে। জুন শেষে ‘বিএসই সেনসেক্স’ ৬৪ হাজার ৭১৮ পয়েন্টে অবস্থান করে।
গ্রিন ডেল্টা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের এ তালিকায় রিটার্নের দিক থেকে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের অবস্থান ৫ম। ৬ মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগকারীরা ২ দশমিক ২০ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছে। বিনিয়োগকারীদের একই পরিমাণ রিটার্ন দিয়েছে পাকিস্তানের শেয়ারবাজারও।
যুক্তরাজ্যের শেয়ারবাজার রিটার্নের দিক থেকে ৬ষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে। ৬ মাসে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীরা ১ দশমিক ১০ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছেন। জুন শেষে ‘এফটিএসই ১০০’ সূচক অবস্থান নিয়েছে ৭ হাজার ৫৩১ পয়েন্টে।
অপরদিকে ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগকারীরা দেশটির পুঁজিবাজার থেকে কোন রিটার্ন পায়নি বলে গ্রিন ডেল্টা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।