অনুষ্ঠানে জানানো হয়, টাইপ-১ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস উভয় রোগীদের জন্যই ইনসুলিনটি ব্যবহার করা যাবে। প্রচলিত দ্রুত কার্যকরী আধুনিক ইনসুলিনের চাইতে দ্বিগুণ দ্রুত এবং দ্রুত কার্যকরী হিউম্যান ইনসুলিনের চেয়ে চার গুণ দ্রুত কাজ করবে নতুন এই ইনসুলিন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির (বাডাস) সভাপতি এ কে আজাদ খান বলেন, নতুন এই ইনসুলিনটি দিয়ে রোগীরা উপকৃত হবেন; কারণ; এটি হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়া) কমিয়ে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন বলেন, ‘আমি জেনে আনন্দিত যে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গবেষণা ও উন্নয়নভিত্তিক ইনসুলিন উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে নভো নরডিস্ক।’
অনুষ্ঠানে বাডাসের সাধারণ সম্পাদক মো. সায়েফ উদ্দিন, নভো নরডিস্ক বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিহাইল ব্রিসিউ বক্তব্য দেন। এ সময় নভো নরডিস্কের হেড অব মেডিকেল অ্যান্ড কোয়ালিটি মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান, হেড অব কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স মো. তানবির সজীব, পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার গাজী তাওহীদ আহমেদ এবং গ্রুপ প্রোডাক্ট ম্যানেজার মেজবাউল গাফফার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকেই নভো নরডিস্কের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশে হিউম্যান ইনসুলিন উৎপাদন করছে ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস। ট্রান্সকম ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড নভো নরডিস্কের একমাত্র পরিবেশক।