শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হয়।
টসে জিতে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় চেন্নাই।
শুরুতে চেন্নাইয়ের এনগিদির লাগামহীন বোলিংয়ে উড়ন্ত সূচনা করে রোহিত শর্মা আর কুইন্টন ডি কক।
এ উদ্বোধনী জুটি ২৮ বলে ৪৬ রান তোলেন। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন ঘটে মুম্বাইয়ের। টানা দুই ওভারে দুই ওপেনার সাজঘরে ফেরেন।
রোহিত ১০ বলে ১২ আর ডি কক ২০ বলে ৩৩ করেন।
তৃতীয় উইকেটে সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে দারুণ এক ইনিংস খেলেন সৌরভ তিওয়ারি। ৩ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১২১ রান জমা করে মুম্বাই।
শেষতক ২০০ ছাড়িয়ে যাবে মুম্বাই এমনটিই ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু ১৫তম ওভারে এসে রবীন্দ্র জাদেজার জোড়া ধাক্কায় সব ধারণা পাল্টে যায়। এক ওভারেই রবীন্দ্র জাদেজা দুই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান।
জাদেজার ঘূর্ণি বলে ডু প্লেসিসের ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে সৌরভ তিওয়ারি করেন ৩১ বলে ৪২ রান। তিন বল পর আউট হন ১০ বলে ১৪ রান করা অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া।
এর পর প্রথম স্পেলে খেই হারিয়ে ফেলা লুঙ্গি এনগিদি চমক দেখান। ক্রুনাল পান্ডিয়াকে ৩ রানে ফেরান তিনি। মুম্বাইয়ের হার্ডহিটার কাইরন পোলার্ডকে ১৮ রানে ফেরান এই প্রোটিয়া পেসার। এর পর জেমস প্যাটিনসকেও আউট করেন। এনগিদির বলে আউট হওয়ার আগে জেমস ৮ বলে ১১ রন করতে সক্ষম হন।
সব মিলিয়ে ৯ উইকেটে ১৬২ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।
১৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথমে বিপদেই পড়ে যায় চেন্নাই সুপার কিংস। শুরুতেই মাত্র ছয় রানেই ২ উইকেট হারায় চেন্নাই।
কিন্তু আম্বাতি রাইডুর ৭১ রান ও ফাফ ডু প্লেসির হার না মানা হাফ সেঞ্চুরিতে সহজ জয়ে পৌঁছে যায় চেন্নাই।
মাত্র ১৪ ওভারে ফাফ ও রাইডু মিলে গড়েন ১১৫ রানের জুটি। দলীয় ১২১ রানের মাথায় ৪৮ বলে ৭১ রান করে ফেরেন রাইডু।
ফাফের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ৫৮ রানের অনবদ্য ইনিংস। স্যাম কারানের ৬ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংসের কারণে চার বল বাকি থাকতেই ১৬৩ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলে চেন্নাই। হাতে রয়ে যায় ৫ উইকেট।