তিনদিন আগে সরকার সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমালেও শুক্রবার (১৪ জুলাই) পর্যন্ত রাজধানীর বাজারে আগের দামেই বিক্রি হয়েছে এই নিত্যপণ্য।
দাম কমানোর পর, লিটারপ্রতি বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৯ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেলের লিটার ১৫৯ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা।
তবে শুক্রবার কারওয়ান বাজারসহ রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারগুলোতে এই দাম কার্যকর হতে দেখা যায়নি। বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি আগের দাম যথাক্রমে ১৮৯ টাকা ও ১৬৫-১৭০ টাকা দরেই বিক্রি হতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে, ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪৩ টাকা কমিয়ে ৮৭৩ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারভেদে তা বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯১০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনো নতুন দামের তেল তাদের হাতে পৌঁছায়নি। ফলে আগের দামেই তারা পুরনো তেল বিক্রি করছেন।
এদিকে, খুচরা বাজারে কাঁচামরিচ দামও এইদিন গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। একদিন আগেও যে দাম ছিল, তারচেয়ে ৫০-৭০ টাকা বেড়েছে এই নিত্যপণ্যের দাম।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কাঁচামরিচের দাম ছিল ২২০-২৫০ টাকা কেজি, শুক্রবার তা বিক্রি হয়েছে ২৮০-৩২০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলেন, "মরিচের দাম গতকালের তুলনায় আজ বেশি। গতকালও কাঁচামরিচ বিক্রি করেছি ২৪০-২৫০ টাকা কেজিতে, আজ বিক্রি করছি ৩০০ টাকায়। মরিচ কম আসায় শুক্রবার বাজারে কাঁচামরিচের দাম বেশি বলে জানান বিক্রেতারা। বাজারে সাপ্লাই ভাল থাকলে দাম কম থাকে, সাপ্লাই কমে গেলেই দাম বেড়ে যায়।”
এছাড়া, টমেটোর দামও আগের দিনের তুলনায় কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
পর্যাপ্ত আমদানি থাকার কথা শোনা গেলেও বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৬০-৮০ টাকা প্রতিকেজি। তবে অন্যন্য সবজির দাম মোটামুটি আগের মতই আছে, যদিও বাজারে এখন ৪০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যায় না।
বেগুন ১০০ টাকা ও করলা ১২০ টাকা কেজি ছাড়া, অন্যান্য সবজি ৪০-৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া, মুরগি ও ডিমের দামও গত সপ্তাহের চেয়ে বাড়েনি। শুক্রবার বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২২০ টাকা এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩০০-৩৩০ টাকা কেজি দরে। আর প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হয়েছে ১৩৫-১৪০ টাকায়।
এছাড়া, রান্নার আরেকটি প্রয়োজনীয় মশলা আদার দাম এইদিন ছিল ৩০০ টাকা, যা আগের সপ্তাহ থেকে কিছুটা কম।