তদন্তের অংশ হিসেবে চলতি সপ্তাহে সানফ্রান্সিসকোভিত্তিক কোম্পানি ওপেনএআইকে ২০ পৃষ্ঠার একটি চিঠি পাঠিয়েছে এফটিসি। তাতে ওপেনএআইকে কয়েক ডজন প্রশ্ন করা হয়েছে।
এফটিসি জানতে চেয়েছে, কীভাবে তারা (ওপেনএআই) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যক্রমকে (এআইকে) প্রশিক্ষণ ও পরিচালনা করে এবং ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে। পাশাপাশি বলেছে, তারা ওপেনএআইয়ের তথ্য সুরক্ষা কার্যক্রমও পর্যালোচনা করবে।
এ বিষয়ে ওপেনএআই তাৎক্ষণিকভাবে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রশ্নের জবাব দেয়নি।
এদিকে এফটিসির এই তদন্তকে চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআইয়ের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তির কারণে অনেকে চাকরি হারাতে পারেন। সেই সঙ্গে অনেক বিভ্রান্তিকর তথ্যও ছড়াতে পারে।
চ্যাটজিপিটি নিয়ে বিতর্ক ওঠার পরে ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্যাম অল্টম্যান গত মে মাসে মার্কিন কংগ্রেসে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ সময় অল্টম্যান দ্রুত বর্ধনশীল এই প্রযুক্তির তদারকির জন্য একটি নীতিমালা করার আহ্বান জানান।
গত বছরের নভেম্বরে প্রথম চ্যাটজিপিটি প্রযুক্তি বাজারে আনে ওপেনএআই। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি তাত্ক্ষণিকভাবে কারও প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। এমনকি কবিতা লেখা কিংবা প্রায় যেকোনো বিষয়ে ছন্দ করার ক্ষমতাও আছে এটির। অর্থাৎ প্রযুক্তিটি কল্পকাহিনির সঙ্গে সত্যকে মিশ্রিত করতে পারে এবং এমনকি তথ্যও তৈরি করতে পারে। এই বিষয়কে বিজ্ঞানীরা ‘হ্যালুসিনেশন’ বলে থাকেন।
এদিকে চ্যাটজিপিটির মতো বিভিন্ন এআই চ্যাটবট ব্যবহার শুরু করেছে গুগল, মাইক্রোসফটের মতো বিভিন্ন কোম্পানি। এ ছাড়া কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি ও ব্যবহার করার পদ্ধতিতে একটি বড় পরিবর্তন আনছে চ্যাটজিপিটি।