প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ১ জুলাই ২০২৩ থেকে প্রতিবছর ১ জুলাইয়ে প্রাপ্য বেতনের ৫ শতাংশ হারে, তবে ১ হাজার টাকার কম নয়, ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ আদেশটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়েছে।
আজ দুপুরে জারি হওয়া সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের ৫ শতাংশ হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ দেওয়ার প্রজ্ঞাপনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রণোদনা পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ ছিল না। কিছুক্ষণ পর আলাদা করে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী আছেন সাড়ে পাঁচ লাখের মতো।
এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী আছেন ৩ লাখ ৬৬ হাজারের বেশি। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় এমপিওভুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারী আছেন ১ লাখ ৬৫ হাজারের মতো। আর কারিগরিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী আছেন ২০ হাজারের বেশি।
বর্তমানে এমপিওভুক্ত উচ্চবিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬৪টি।
এমপিও হলো ‘মান্থলি পে-অর্ডার’ বা মাসিক বেতন আদেশ, যার মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের সরকারি অংশ দেওয়া হয়। এর বাইরে শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে বৈশাখী ভাতা ও বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির (ইনক্রিমেন্ট) সুবিধাও পান।
গত মাসে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মচারীদের প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরাও এ সুবিধা পাবেন কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। অবশেষে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরও এই সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিল সরকার। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই খুশি শিক্ষকেরা।
ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা সরকারের এ সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওসার আহমেদ বলেন, ৫ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার ঘোষণায় তাঁরা সরকারকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। অবশ্য, জাতীয়করণের দাবিতে তাঁদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।