মূল প্রস্তাবের তুলনায় নতুন অনুমোদিত প্রস্তাবে ব্যয় বেড়েছে ৬ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা, অর্থাৎ ১৯৫ শতাংশ বেশি। আর প্রথম সংশোধিত ব্যয়ের তুলনায় বেড়েছে ৫ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা বা ১৪২ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির ( একনেক) সভায় প্রকল্পটির দ্বিতীয় সংশোধিত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
একনেক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য আব্দুল বাকি জানান, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও বিভিন্ন প্যাকেজের ব্যয় বৃদ্ধির কারণে প্রকল্পটির ব্যয়ও বেড়েছে।
আদানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র (ঝাড়খন্ড, ভারত) হতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্থাপন এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শুরু হয় ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে।
নতুন অনুমোদিত প্রস্তাবে প্রকল্পের ব্যয় ৪ হাজার ৫২ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা করা হয়েছে।
২০১৯ সালে বাস্তাবায়ন শুরুর সময় প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৩২২ কোটি টাকা। পিজিসিবি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি ৬৬.৯১ শতাংশ।
আব্দুল বাকি জানান, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। লাইনটি যমুনা নদীর ওপর দিয়ে যাবে । এখানে আধুনিক প্রযুক্তি যোগ করা হচ্ছে। ফলে এই অংশের ব্যয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে। ১ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা ব্যয় বেড়েছে। সিটি ভ্যাট প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। অন্যান্য মালামাল আমদানির ক্ষেত্রেও প্রায় এক হাজার কোটি ব্যয় টাকা বাড়ছে। সব মিলিয়ে প্রথম সংশোধিত প্রস্তাবের তুলনায় দ্বিতীয় সংশোধিত প্রস্তাবে ব্যয় বেড়েছে ৫ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এই প্রকল্পে শুরুতে ভারত ১ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। এখন ঋণ বেড়ে হচ্ছে ৬ হাজার ২০৮ কোটি টাকা। এছাড়া সরকারি তহবিল থেকে এখন দেওয়া হবে ২ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। পিজিসিবি দিবে ৭৫৬ কোটি টাকা।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের জুনে। পরে প্রথম সংশোধিত প্রস্তাবে মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এবার দ্বিতীয় সংশোধিত প্রস্তাবে মেয়াদ আরো দেড় বছর বাড়ানো হয়েছে।