যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান জানিয়েছেন, তালিকায় থাকা পাঁচটি দেশ হলো—ডমিনিকান রিপাবলিক, হন্ডুরাস, নামিবিয়া, তিমুর-লেসতে এবং ভানুয়াতু।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন এই নীতি কেবলই ‘অভিবাসন এবং সীমান্ত সুরক্ষার কারণে’ই করা হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, এই নীতি তালিকায় থাকা দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক খারাপ এমনটা ইঙ্গিত করে না।
বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যদের কাছে লিখিত এক বিবৃতিতে সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান বলেছেন, ডমিনিকান রিপাবলিক এবং ভানুয়াতুতে টাকার বিনিময়ে নাগরিকত্ব দেওয়া হয় এবং এই দেশ দুটি ব্রিটিশ অভিবাসন নীতির অপব্যবহার করেছে। কমনওয়েলথভুক্ত এই দেশ দুটি এমন সব মানুষকে নাগরিকত্ব দিচ্ছে যা কিনা সরাসরি যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান আরও বলেছেন, আরও দুটি দেশ—নামিবিয়া এবং হন্ডুরাসের নাগরিকেরা ব্রিটিশ অভিবাসন নীতির অপব্যবহার করেছে। তারা সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তাদের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম করার পরও একাধিকবার যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করেছে এবং রাজনৈতিক আশ্রয় সুবিধার অপব্যবহার করেছে।
তিমুর-লেসতে সম্পর্কে ব্র্যাভারম্যান বলেছেন, দেশটির নাগরিকেরা ক্রমবর্ধমানহারে ‘অবৈধ পর্যটক’ হিসেব আসছে যুক্তরাজ্যে এবং তারা এরপর প্রায়ই এ দেশে তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তির মাধ্যমে ভুয়া উপায়ে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব হাসিলের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করায় মধ্য আমেরিকার চারটি দেশের ৩৯ জন নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন করে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিরা মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালা, নিকারাগুয়া, হন্ডুরাস এবং এল সালভাদরের। ৩৯ জনের মধ্যে ১০ জন গুয়াতেমালার, ১০ জন হন্ডুরাসের, ১৩ জন নিকারাগুয়ার এবং ৬ জন এল সালভেদরের।