বিশ্ববাজারে চালের যে দাম ইতোমধ্যে ১১ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এবার আরেকটি দুঃসংবাদ এলো বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত থেকে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাসমতী ছাড়া অন্য সব চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দিয়েছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের নোটিশে জানানো হয়, ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে চাল রপ্তানি নীতিতে পরিবর্তন এনেছে সরকার। তাই এখন থেকে বাসমতী চাল ছাড়া অন্য কোনো সাদা চাল আর রপ্তানি করা যাবে না।
২০ জুলাই থেকেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। তবে আগে গৃহীত এবং প্রক্রিয়াধীন রপ্তানি আদেশগুলোর সরবরাহ সম্পন্ন করা যাবে।
চাল রপ্তানি বন্ধের এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানিয়েছে ভারতের রপ্তানিকারকদের সংস্থা রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (আরইএ)। সংস্থাটি বলছে এতে চালের আন্তর্জাতিক বাজারে বড় বিপর্যয় দেখা দিবে বলছে আর আকস্মিক এই নিষেধাজ্ঞায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে স্বল্পোন্নত দেশগুলো।
চলতি বছর বর্ষায় ভারতের রাজ্যগুলোতে বৃষ্টিপাতে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে। জুনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় ও কেন্দ্রীয় রাজ্যগুলোতে অতি বর্ষণ হলেও পূর্ব, উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বৃষ্টিপাত প্রয়োজনের তুলনায় বেশ কম। ফলে এ বছর চাল উৎপাদন কমবে বলে আগেই সতর্ক করেছিল কৃষি বিজ্ঞানীরা।
বিশ্বের ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। আর বিশ্ববাজারে প্রতিদিন যে পরিমাণ চাল কেনাবেচা হয়— তার ৪০ শতাংশই আসে ভারত থেকে। গতবছর ভারতের রপ্তানি করা ২২ মিলিয়ন টন চালের মধ্যে নন-বাসমতী সাদা চাল এবং ভাঙা চাল ছিল প্রায় ১০ মিলিয়ন টনের বেশি।