নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম দায়িত্ব নেয়ার পর আজ সূচকের সব থেকে বড় দরপতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ৭৬ পয়েন্ট পড়ে গেছে।
শেয়ারবাজারের ক্রান্তিকালে গত ১৭ মে বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম। দায়িত্ব নেয়ার পর বন্ধ শেয়ারবাজারে ৩১ মে থেকে আবার লেনদেন শুরু করেন। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর শেয়ারবাজারে উত্থান-পতন প্রবণতা চলতে থাকে। তবে ১৭ আগস্ট ডিএসইর প্রধান সূচক ৭৪ পয়েন্ট পড়ে যায়। বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যানের মেয়াদে এতোদিন এটাই ছিল একদিনে সূচকের সবচেয়ে বড় পতন।
অবশ্য এই বড় পতনের ধকল সামলাতে খুব একটা সময় লাগেনি। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার প্রেক্ষিতে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয় শেয়ারবাজারে। এক মাসের বেশি সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় রয়েছে শেয়ারবাজার। এ পরিস্থিতিতে সোমবার শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হলো।
এদিন লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে পতনের আভাস পাওয়া যায়। প্রথম আধাঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। ফলে নিম্নমুখী হয়ে পড়ে সূচক। সময়ের সঙ্গে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা বাড়তে থাকে।
ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১২ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭২৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস সূচক কমলো।
সূচকের এই পতনের দিনে ডিএসইতে অংশ নেয়া ৮২ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ২৫৯টি এবং ১৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯৭৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ১০৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১২৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং। কোম্পানিটির ২৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ২৬ কোটি ৬২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রূপালী ইন্স্যুরেন্স।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বেক্সিমকো ফার্মা, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ব্র্যাক ব্যাংক, বিডি ফাইন্যান্স, নিটল ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২০৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৮৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৪টির এবং ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।