সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের শুরুতে ডলার বেচা থমকে গিয়েছিল। কিন্তু গত ছয় দিনে সেই চিত্র পাল্টে গেছে। এই ছয় দিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের আমদানি বিল পরিশোধ বাবদ রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকের কাছে ১০৯ টাকা দরে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। গত সোমবার এক দিনেই বিক্রি করা হয়েছে ৬৮০ মিলিয়ন ডলার। সব মিলে বিক্রীত ডলারের পরিমাণ প্রায় ১ বিলিয়ন। এই রেট বাজারের তুলনায় সস্তা। কেননা, বাজারে প্রতি ডলার ১১১ থেকে ১১২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত অর্থবছরে ডলার বিক্রির পরিমাণ ছিল ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ও তার আগের বছরে ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন।
ডলার-সংকটের বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান মনসুর বলেন, রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বাড়ার পরেও ডলার-সংকট সহসাই কাটছে না, যদি অর্থ পাচার বন্ধ না হয়।
গত ১৮ জুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের জন্য মুদ্রানীতি প্রকাশকালে জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে ব্যাংকের কাছে স্বাভাবিক বা সস্তা দরে ডলার বিক্রি করা হবে না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের আমদানি ব্যয় মেটাতে ডলার বিক্রি করা হচ্ছে, যা আগের তুলনায় কম। গভর্নর মহোদয় সেটাকে ইঙ্গিত করেছেন। আর ডলার পর্যাপ্ত থাকায় বিক্রি হচ্ছে। রিজার্ভও ভালো অবস্থানে রয়েছে।’