দেশে সব অথরাইজ ডিলারদের কাছে পাঠানো ওই সার্কুলারে বলা হয়, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত অথরাইজড ডিলার ব্যাংকগুলোতে বাকিতে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ডেফার্ড এলসি খুলতে পারবেন আমদানিকারকরা। পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাধারণত ডেফার্ড এলসির মেয়াদ ১৮০ দিন হয়। তবে সাময়িক সময়ের জন্য দেওয়া এই নির্দেশনায় পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে ৯০ দিন মেয়াদে ডেফার্ড এলসি খুলতে দেওয়া হবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সুযোগ বলবৎ থাকবে।
এছাড়া ইউজেন্স বেসিস বা বায়ার্স ক্রেডিটের মাধ্যমে খোলা এসব এলসিতে বিদেশি ঋণ অথবা দেশের ব্যাংকগুলোর অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট থেকে এই ঋণ নেওয়া যাবে। এতে আমদানির খরচও কমবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
পেঁয়াজ আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলতে ব্যবসায়ীদের নগদ অর্থ জমা দিতে হয়। নগদ টাকা না থাকায় অনেক ব্যবসায়ী ঋণপত্র খুলতে পারছিলেন না। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য বাকিতেও পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবে আমদানিকারকরা।
এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যূনতম টাকা জমা রেখে পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র খোলার ব্যবস্থা করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয়।