কারণ, এবারের আইপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালি সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ১০ রানের ব্যবধানে হারিয়ে দারুণ সূচনা করলো বিরাট কোহলির ব্যাঙ্গালুরু।
গত আইপিএলে যেভাবে একের পর এক ম্যাচ হেরেছিল ব্যাঙ্গালুরু, সেই স্মৃতি যেন এখনও উজ্জ্বল হয়ে আছে দলটির সমর্থকদের মনে। এ কারণে, তারকাভর্তি টাইটানিক হলেও কোহলির দলের ওপর আস্থা কম ভক্তদের। এর মধ্যেই প্রথম ম্যাচে এমন জয়, নিশ্চিত সবার মনে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে।
টস হারলেও প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পায় বিরাট কোহলিরা। ব্যাট করতে নেমে তরুণ ব্যাটসম্যান দেবদূত পাড্ডিকাল এবং মিডল অর্ডারে এবি ডি ভিলিয়ার্সের ঝড়ো বাটিংয়ে ১৬৩ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় ব্যাঙ্গালুরু। জয়ের জন্য ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বেয়ারেস্টর ঝড় সত্ত্বেও ২ বল বাকি থাকতে ১৫৩ রানে অলআউট হয়ে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
জয়ের জন্য ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুর্ভাগ্যের শিকার হন ডেভিড ওয়ার্নার। ৬ বলে ৬ রান করার পর বেয়ারেস্টর একটি শটে বোলার উমেষ যাদবের হাতে বল লেগে স্ট্যাম্প ভেঙে দেয়। ওয়ার্নার ততক্ষণে ক্রিজের বাইরে। ফলে রানআউটের শিকার হয়ে গেলেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক।
এরপর বেয়ারেস্ট আর মানিশ পান্ডে মিলে গড়ে তোলেন ৭১ রানের জুটি। ৮৯ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ৩৩ বলে ৩৪ রান করে আউট হয়ে যান মানিশ পান্ডে। ১২১ রানের মাথায় আউট হয়ে যান জনি বেয়ারেস্টও। ৪৩ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
তখও জয়ের সম্ভাবনা ছিল সানরাইজার্সের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ব্যাঙ্গালুরু বোলারদের তোপের মুখে পড়ে হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানরা। ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল, নবদীপ সাইনি এবং শিবাম দুবে মিলে ধ্বস নামান হায়দরাবাদের ইনিংসে। যে কারণে শেষের ব্যাটসম্যানরা দুই অংকের ঘরও স্পর্শ করতে পারেনি। ১৯.৪ ওভারে তারা অলআউট হয়ে যায় ১৫৩ রানে।
ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল নেন ৩ উইকেট। নবদীপ সাইনি এবং শিবাম দুবে নেন ২টি করে উইকেট। ১টি নেন ডেল স্টেইন। ২ জন হলেন রানআউট।