‘ইমেরিটাস অধ্যাপক’ হিসেবে এ ছয়জনকে সম্মানিত করায় খ্যাতিমান এ শিক্ষকদের সংবর্ধনা দিয়েছে বিশেষায়িত গণমাধ্যম বহুমাত্রিক.কম।
বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের সহযোগিতায় শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৫টায় রাজধানীর বিজয় সরণিতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের মাল্টিপারপাস হলে (অ্যানেক্স ব্লকে) এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী বীরপ্রতীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাজনীতিক, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, গণমাধ্যম সম্পাদকসহ সমাজের বিশিষ্টজনরা অংশ নেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আজ যাদের সম্মানিত করা হলো তারা প্রত্যেকেই অত্যন্ত গুণি মানুষ। তারা সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে নিজেকে সর্বোচ্চ উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তাদের কাছ থেকে আমরা যেমন শিখেছি, ঠিক তেমনি এখনো অনেক শেখা বাকি। আমি আশা করবো তারা আমাদের আলোকবর্তিকা হয়ে আরো সামনে এগিয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, আমাদের আরও সক্রিয় হওয়া উচিত। ঠিক যেভাবে আগের প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে সমর্থন এবং ভালোবাসা দিয়েছেন, যেভাবে সামনে যাওয়ার সাহস যুগিয়েছিল, আমার বিশ্বাস এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সে রকম সমর্থন দেবেন, সাহস যোগাবেন। আর এ কাজটি যারা করবেন তারা আমাদের সমাজের আলোকবর্তিকা। তাদের আলো নিয়েই আমরা আগামীতে এগিয়ে যাবো বলে বিশ্বাস করি।
ইমেরিটাস অধ্যাপকদের সংবর্ধনা দেওয়ার বিষয়ে বহুমাত্রিক.কমের প্রধান সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীন বাংলাদেশের এক গৌরবময় প্রতিষ্ঠান। স্বাধিকার আদায় থেকে প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি করেছে বিপুল সংখ্যক দক্ষ মানবসম্পদ। জাতির গৌরবের প্রতীক এ বিদ্যাপীঠের ছয়জন খ্যাতিমান সাবেক শিক্ষককে ইমেরিটাস অধ্যাপক করা হয়েছে। দেশের উচ্চ শিক্ষাঙ্গনে এটি এক বিরল ঘটনা। জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণে অনন্য অবদান রাখা এ ছয় শিক্ষককে ইমেরিটাস অধ্যাপক সম্মানে ভূষিত করে তাদের আরও দায়বদ্ধ করে তোলা হলো।