সূত্র মতে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে গ্যাম্বলিং, গেমিং, বেটিং, ফরেক্স এবং ক্রিপ্টো ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ লেনদেন মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে এসব অপরাধ হুন্ডি প্রক্রিয়াকে সহজ ও ত্বরান্বিত করছে। এর ফলে মুদ্রা পাচার বেড়ে যাওয়ায় প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছে দেশ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) জানায়, অনলাইন গ্যাম্বলিং, গেমিং, বেটিং, ফরেক্স এবং ক্রিপ্টো ট্রেডিং এর মাধ্যমে অর্থপাচার রোধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতিকে প্রাধান্য দিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এই সভায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ পুলিশের সিআইডি, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ঢাকা মেট্রাপলিটান পুলিশের ট্রান্সন্যাশনাল এন্ড সাইবার ক্রাইম বিভাগ এবং গোয়েন্দা ও প্রাইভেট সেক্টরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএফআইইউর প্রধান কর্মকর্তা মো. মাসুদ বিশ্বাস। তিনি অবৈধ হুন্ডি, অনলাইন গ্যাম্বলিং, গেমিং, বেটিং, ফরেক্স এবং ক্রিপ্টো ট্রেডিংয়ের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে সব সংস্থার একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের কাজের সমন্বয় সাধন ও জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বানও জানান তিনি।
অবৈধ হুন্ডি, অনলাইন গ্যাম্বলিং, গেমিং, বেটিং, ফরেক্স এবং ক্রিপ্টো ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে কিভাবে অর্থপাচার হচ্ছে তা নিয়ে সভায় একটি উপস্থাপনা তুলে ধরা হয়। এসব অপরাধ প্রতিরোধের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সভায় অংশ নেওয়া সংস্থাগুলো।