এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখে ৮০/৯০ সালের দিকে ওই সময়ের সৌদি রাজা স্ব-প্রণোদিত হয়ে অনেক রোহিঙ্গাকেই তিনি তার দেশে নিয়ে যান। অনেকে সরাসরি চলে যান, অনেকে হয়তো বাংলাদেশ হয়েও গেছেন। আমরা এই ঘটনার বিস্তারিত জানি না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘সৌদি বলছে যে ওখানে ৫৪ হাজার রোহিঙ্গা আছেন এবং তাদের অনেকের আবার পরিবারও হয়েছে। তাদের ছেলেমেয়েরা জীবনে বাংলাদেশে আসেনি, তারা আরবিতে কথা বলে, বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছুই জানে না। সৌদি সরকার প্রথম বলেছিলেন ৪৬২ জন রোহিঙ্গা জেলে আছেন, তাদেরকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য। আমরা সৌদিকে বলেছি, তারা বাংলাদেশি হলে অবশ্যই আমরা ফিরিয়ে আনব কিন্তু তার আগে আমরা যাচাই বাছাই করব। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তারা কোনো একটা প্রমাণ দিতে পারলে, আমরা অবশ্যই তাদেরকে ফিরিয়ে আনব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের মিশন সৌদি গিয়ে বিষয়টি যাচাই বাছাই করেছে। দেখা গেছে, অধিকাংশেরই বাংলাদেশি হিসেবে কোনো প্রমাণপত্র নাই। তারপর সৌদি আরও বললো, ৫৪ হাজারের মতো রোহিঙ্গা তাদের দেশে আছে। এদের কোনো পাসপোর্ট নেই। সৌদি তাদেরকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেয়ার জন্য আমাদের বললো। আমরা বললাম, আগে যাদের পাসপোর্ট দিয়েছিলাম তাদের যদি আবার পাসপোর্ট লাগে তাহলে দেব কিন্তু নতুন কাউকে
পাসপোর্ট দেয়ার সুযোগ নাই। আবার এই রোহিঙ্গারা যদি আমাদের লোকই না হয় তাহলে কেন পাসপোর্ট দিব। এই বিষয়ে আমরা পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে একটা উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছি, তারা যাচাই বাছাই করে দেখবে।’