বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট ২০২২-এ এসব তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য মতে, গত এক বছরে বাংলাদেশের টাকার দর কমেছে ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ। একই সময়ে সবচেয়ে বেশি ২২ শতাংশ দরপতন হয়েছে পাকিস্তানি রুপির। জাপানি ইয়েনের দরপতন হয়েছে ১৪ শতাংশ। ইউরোর দরপতন ৬ শতাংশ এবং ইউকের পাউন্ড স্টার্লিংয়ের ১০ শতাংশ দরপতন হয়েছে। তবে, এ সময় রাশিয়ান রুবল ও সিঙ্গাপুরি ডলারের দর বেড়েছে যথাক্রমে ২ শতাংশ ও ১ শতাংশ।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির পর দেশে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার অস্থির হয়ে ওঠে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সংকট আরও বৃদ্ধি পায়। যুদ্ধের কারণে ডলার সরবরাহ বিঘ্নিত হয় এবং বেশির ভাগ দেশের মুদ্রার দরপতন হয়। ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি ডলারের আন্তব্যাংক বিনিময় হার ছিল ৮৫ দশমিক ৮০ টাকা। যা ডিসেম্বরে গিয়ে দাঁড়ায় ১০৫ দশমিক ৪০ টাকায়।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, গত বছর মার্কিন ডলারের বিপরীতে চীনা ইউয়ান, ভারতীয় রুপি, জাপানি ইয়েন এবং ইন্দোনেশিয়ান রুপিসহ প্রধান আমদানি দেশগুলোর মুদ্রারও উল্লেখযোগ্য দরপতন হয়েছে। এ সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রা বাজার স্থিতিশীল রাখতে ১ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে ব্যাংকগুলোর কাছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, উঠতি অর্থনীতির দেশগুলোতে ডলারের মূল্যমান ১০ শতাংশ বাড়লে এক বছর পরে তাদের উৎপাদন কমে যাবে ১ দশমিক ৯ শতাংশ। আর এই উৎপাদন কমে যাওয়া অব্যাহত থাকবে আড়াই বছর। তবে উন্নত দেশগুলোতে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব এতটা প্রকট হবে না। এসব দেশে ডলারের দর ১০ শতাংশ বাড়লে মাত্র এক প্রান্তিক পরে উৎপাদন কমবে দশমিক ৬ শতাংশ এবং এক বছরের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
অর্থসংবাদ/এমআই