ফক্সকন আগে এসব আইফোন উৎপাদন করত চীনে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে চীনের সঙ্গে পশ্চিমাদের সম্পর্কের অবনমন ঘটলে— সেখান থেকে ধীরে ধীরে নিজেদের কার্যক্রম কমিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করে প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাপল চায় আইফোন উৎপাদনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র চীনের ওপরই নির্ভরশীল থাকবে না তারা। এ কারণে ভারতের তামিলনাড়ুর শ্রীপারুমবুদুরে কারখানা খুলেছে তারা।
নাম গোপন রাখার শর্তে একটি সূত্র সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে জানিয়েছে, তামিলনাড়ুর এই কারখানাটি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন আইফোন অ্যাপেলের কাছে তুলে দিতে পারবে।
চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে গিয়ে এর সেরা বিকল্প হিসেবে ভারতকে খুঁজে পায় অ্যাপল। এ বছর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজে অ্যাপলের সিইও টিম কুক মোদির সঙ্গে দেখা করেন। তাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল— ভারতে অ্যাপলের পরিধির আরও বিস্তার ঘটানো এবং চীনের ওপর নির্ভরতা কমানো। ওই বৈঠকের পর টিম কুক বলেছিলেন ভারত তাদের জন্য ‘বিশাল সুযোগ।’
উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বেশ কিছু পদ্ক্ষেপ নিয়েছেন, যার মাধ্যমে মার্কিন ব্যবসায়ীদের চীনে বিনিয়োগ করার বিষয়টি কঠিন হয়ে গেছে। অপরদিকে চীনও মার্কিনিদের ওপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে অ্যাপল ভারতে তাদের উৎপাদন বহুলাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থ বছরে ভারতে ৭ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের পণ্য উৎপাদন করেছে তারা।
এদিকে প্রতিবছর সাধারণত সেপ্টেম্বরে নিজেদের বার্ষিক অনুষ্ঠানে নতুন আইফোন আনার ঘোষণা দেয় অ্যাপল। ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, নতুন আইফোন আরও শক্তিশালী ক্যামেরা, প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।