ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, একটি সংগঠন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘোলা করার জন্য চেষ্টা করেছে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যা যা করা দরকার আমরা করব। নির্বাচনী মাঠ ঘোলা করার জন্য অনেক শক্তি মাঠে নামবে, আইন-শৃঙ্খলা অবনতি করার চেষ্টা করবে। তবে এই চেষ্টা কেউ করলে বাংলাদেশ পুলিশ কঠোর হস্তে দমন করবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর সবুজবাগে 'স্বস্তি' প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ১৭ আগস্টের আজকের এই দিনে সারাদেশের ৬৩ জেলায় জঙ্গিরা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে জঙ্গিরা জানান দিয়েছিল বাংলাদেশ একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। যারা তখন ক্ষমতায় ছিল আমি বলবো তাদের মদতে বাংলাদেশ জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছিল। বাংলাদেশ পুলিশ ও জনগণ জঙ্গি রাষ্ট্র হওয়া থেকে এখন পর্যন্ত রক্ষা করে চলেছে। হলি আর্টিসানে হামলাসহ সারা বাংলাদেশে জঙ্গিদের যে ভয়াবহ তাণ্ডব শুরু হয়েছিল দেশি ও বিদেশি চক্রান্তে, তার মূল কারণ ছিল বাংলাদেশের উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়া। আপনাদের সবার সহযোগিতায় বাংলাদেশ পুলিশ সেই জঙ্গি দমন করতে পেরেছে, নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। কিন্তু জঙ্গি বাংলাদেশ থেকে নির্মূল হয়নি, কিছুদিন আগেও দেখেছেন ডিএমপির সিটিটিসি সিলেটের গভীর অরণ্য থেকে আবার নতুন জঙ্গিদেরকে গ্রেপ্তার করেছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরিত করার ফলে অপরাধীরাও ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ডিজিটাল সুবিধা নিয়ে জঙ্গিরাও সচেতন হওয়ার চেষ্টা করছে, তারা এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না। ডিজিটালের ফলে মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করছে তারা। তবে পুলিশ তাদের থেকে পিছিয়ে থাকতে পারে না। অপরাধীরা ডালে ডালে চললে আমাদের পাতায় পাতায় চলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা মহানগরীতে প্রায় দুই কোটি লোকের বসবাস। বিদেশি সংস্থাসহ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সংসদ, সচিবালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। এটি আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি এটি নির্বাচনী বছর। এই বছরে নির্বাচনী মাঠ ঘোলা করার জন্য অনেকেই মাঠে নামবে, অনেকেই আইন-শৃঙ্খলা অবনতি করার চেষ্টা করবে এবং নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে। আইন-শৃঙ্খলা নস্যাৎ করার চেষ্টা করলে বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের সহযোগিতা নিয়ে কঠোর হস্তে তাদেরকে দমন করবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, তিন-চারদিন আগেই দেখা গেছে জামায়াতের একজন শীর্ষ নেতার হার্ট অ্যাটাকে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহ নিয়ে একটি মহল আইন-শৃঙ্খলা ঘোলা করার জন্য চেষ্টা করছিল, কিন্তু সেটি সফল হয়নি।
অর্থসংবাদ/এসএম