তিনি বলেন, আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসেই পদ্মাসেতুর সঙ্গে সংযুক্ত রেললাইন জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। সে লক্ষ্যেই কাজ চলছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদারীপুর জেলার শিবচরে পদ্মাসেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন সুবিধবার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতুর রেলসংযোগ বরিশাল-কুয়াকাটা-পায়রাবন্দর পর্যন্ত নেওয়া হবে। পদ্মাসেতুর ফলে এ অঞ্চলের মানুষের জন্য যোগাযোগের এক অভূতপূর্ব দিগন্ত উন্মোচন হবে। রাজধানীর সঙ্গে অতিদ্রুত যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে।
পদ্মাসেতুর এ রেলসংযোগ ও সড়ক পথের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি অত্যাধুনিক রেলস্টেশন হবে ফরিদপুরের ভাঙ্গায়। এর মধ্য দিয়ে এ এলাকার মানুষের আর্থ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন হবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
নকশায় ক্রটির বিষয়ে নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, পদ্মা সেতুর ত্রুটি ধরা পড়েছে এটি এখনই বলার সময় আসেনি। আমরা দেখার জন্য এসেছি। রেল সংযোগ প্রকল্পে খুব যে বড় ধরনের সমস্যা তা নয়। আসলে সমস্যা আছে কিনা তাও বলা যাবে না। যতক্ষণ না পর্যন্ত এক্সপার্টরা অপিনিয়ন দেবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পে রেলের যেভাবে কাজ চলছে সেটির ব্যাপারে সড়ক নতুন ধরনের কনডিশন (শর্ত) দিয়েছে, কিন্তু সড়ক বিভাগ এখনো ডিজাইন দেইনি। যেহেতু এটি ইঞ্জিনিয়ারিং সংশয় সেহেতু আমাদের এক্সপার্ট আছেন, তারা এটি নিয়ে বসবেন। যদি নকশা কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং মতানৈক্য হয় তবে আমরা আশা করছি তারাই এটি সংশোধন করতে পারবে।
তিনি বলেন, সেতু বিভাগ ও রেল বিভাগের কাছে ডিজাইন চাওয়া হয়েছে। তারা ডিজাইন দিলেই সংশোধন করা হবে। অন্য কোথাও সমস্যা নেই। শুধু রেল নামার ও উঠার সময় সমস্যা কথা উঠছে এ ক্ষেত্রে সমন্বয় করা হবে।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। একমাত্র তার কারণেই এত বড় বড় কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন রেলমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিবচর উপজেলার পাঁচ্চর এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৮ জন ব্যক্তির মধ্যে এক কোটি ১২ লাখ টাকার পুনর্বাসন সুবিধার চেক বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান।
অনুষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২.৩৫ কিলোমিটার রেলপথে ৩৫৮.৪১ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পুনর্বাসন প্রকল্পটি ২০১৭ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০২১ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ডরপ’ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে (ফেইজ-২) ভাঙ্গা থেকে যশোর ৮২ কিলোমিটার রেলপথে ৫১১৮টি পরিবারের পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু করেছে। ‘ডরপ’ প্রকল্প এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা জরিপসহ জেলা প্রশাসনের দেওয়া নগদ ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তিতে সহায়তা, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এবং জীবিকায়ন প্রশিক্ষণ সহায়তা দিচ্ছে।