গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত হুট করে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে সীমান্তে পেঁয়াজ বোঝাই অসংখ্য ট্রাক আটকে যায়। যায় ফলে দেশি পেঁয়াজের কেজি ১১০ টাকা এবং আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকায় ওঠে।
অবশ্য তিনদিন পর আটকে থাকা পেঁয়াজ বাংলাদেশকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। এতে দেশি পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে কেজি ৮০ টাকায় নেমে আসে। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি নামে ৬০ টাকায়। তবে ভারত থেকে আসা বেশিরভাগ পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ায়, দু'দিন ধরে আবার পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা।
ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০ থেকে ১৪৫ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১৫ টাকা কমেছে।
ব্রয়লার মুরগির দামের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, গরমে ব্রয়লার মুরগি বেশি দিন রাখা যায় না। আমরা যে মুরগি আনি সর্বোচ্চ দু'দিন রাখতে পারি। খামারেও এখন মুরগি বেশিদিন রাখা রিস্ক। এ কারণে খামারিরা এখন কম দামে মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন। ফলে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারছি।
কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, আগের মতোই শীতের আগাম সবজি শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকায়। ছোট আকারের ফুলকপি, বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে। উস্তের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-১০০ টাকায়। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া পটল, ঝিঙা, কাঁকরোল, লাউ, চিচিঙ্গা, বেগুনের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়, ঝিঙা ৫০-৬০ টাকা, কাঁকরোল ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা।
তবে কিছুটা কমেছে কাঁচামরিচের দাম। ২৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা।
এছাড়া আলু ও ডিম আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকা। আর ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকা।