এদিকে দাম কমে যাওয়ার পরও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে চাননি। এতে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৫ কোটি ৭৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে এক কোটি ১৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
অপরদিকে শেয়ারের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৩ টাকা ৫০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ১০ পয়সা, যা তার আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ২৬ টাকা ৬০ পয়সা।
সম্প্রতি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ একসঙ্গে ২০১৮ ও ২০১৯ সালের সমাপ্ত বছরের লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এর মধ্যে ২০১৮ সালের জন্য কোম্পানিটি কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০১৯ সালের জন্য এক শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কোম্পানিটির এর আগের লভ্যাংশের ইতিহাসও তেমন ভালো না। ২০১৪ সালে বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিলেও ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই পুঁজিবাজারের পচা বা ‘জেড’ গ্রুপে ছিল কোম্পানিটি।
বাংলাদেশ ওয়েল্ডিংয়ের পরেই গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় ছিল মুন্নু সিরামিক। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১০ দশমিক ৯১ শতাংশ।
এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- উসমানিয়া গ্লাস সিটের ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ, লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ, স্টাইল ক্রাফটের ৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ, অ্যাকটিভ ফাইনের ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং শমরিতা হাসপাতালের ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ দাম কমেছে।