বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে সবচেয়ে বেশি ঋণপত্র খোলা কমেছে তেল ও গ্যাসের। এসব পণ্যের ঋণপত্র খোলা কমেছে ৫০ শতাংশ। এরপরই ৩৬ শতাংশ ঋণপত্র খোলা কমেছে শিল্পের কাঁচামালের। ৩০ শতাংশ ঋণপত্র খোলা কমেছে মধ্যবর্তী পণ্যের। ২২ শতাংশ কমেছে মূলধনি যন্ত্রপাতির ও ২১ শতাংশ কমেছে ভোগ্যপণ্যের।
বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি ১৫ দশমিক ৮১ শতাংশ কমে গিয়েছিল। ওই অর্থবছরে আমদানিতে খরচ হয় ৭ হাজার ৫০৬ কোটি ডলার। তার আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানিতে খরচ হয়েছিল ৮ হাজার ৯১৬ কোটি ডলার।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। তাতে আমদানি খরচ বেড়ে যায় ও ডলারের সংকট দেখা দেয়। এরপর আমদানি কমাতে নানা শর্ত ও কড়াকড়ি আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক বসায়। এরপর কমতে শুরু করে আমদানি ব্য়য়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্যাংকগুলো চাহিদামতো ঋণপত্র খুলছে না। যেসব ব্যবসায়ী ব্যাংকের মালিকানার সঙ্গে যুক্ত, তাঁরাই বেশি ঋণপত্র খুলতে পারছেন। এ কারণে সার্বিকভাবে ঋণপত্র খোলা কমে গেছে।
এদিকে সরকারি আমদানি দায় মেটাতে ডলার বিক্রির কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কমে গেছে। ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে পৌঁছালেও এখন তা কমে হয়েছে ২ হাজার ৯৩২ কোটি ডলার। তবে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ ২৩ দশমিক ১৬ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩১৬ কোটি ডলার। আর নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন বা দুই হাজার কোটি ডলারের কম।
অর্থসংবাদ/এমআই