এনডিটিভি জানিয়েছে, নতুন এই ধরণটি সম্পর্কে গবেষকদের কাছে যথেষ্ট তথ্য নেই। সব থেকে বড় উদ্বেগের বিষয় হল নতুন এই ধরন উচ্চ সংক্রমণশীল। তাই সংক্রমণের মাত্রা বাড়ার আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন বিশেজ্ঞরা।
‘ইউনিভার্সিটি অফ রিডিং’ এর সেলুলার মাইক্রোবায়োলজির সহযোগী অধ্যাপক সাইমন ক্লার্ক এক প্রতিবেদনে বলেছেন, মাস্কের ব্যবহার ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে অনেকটাই সাহায্য করে থাকে। রাজনীতিবিদদের উচিত, জনগণকে মাস্ক পরতে উৎসাহ দেওয়া কিন্তু অনেকেই তা করছেন না।
মহামারির শুরুতে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মাস্ক পরার ওপর বেশ গুরুত্বারোপ করা হয়েছিল। কিন্তু ভ্যাকসিন আসার পর বিষয়টি অনেকটাই কমে যায়। লন্ডন এবং এডিনবার্গের চিকিৎসকরা বরাবরই মাস্ক ব্যবহারে প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন। তারা বলছেন, যখনই সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে তখনই মানুষের মাঝে আবার মাস্ক পরার প্রবণতা বেড়ে যায়।
প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মাস্ক পরিধান না করার ইচ্ছা সবাইকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলতে পারে। এমনকি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষকে ফুসফুস জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালেও যেতে হতে পারে।
বিএ পয়েন্ট টু পয়েন্ট এইট সিক্স বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখনো জানা যায়নি কতজন এরইমধ্যে নতুন এ ধরনে সংক্রমিত হয়েছেন। যদি এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে পরিস্থিতি মারাত্মক হয়ে উঠবে। তাই পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আগেই সবাইকে সচেতন হতে বিশেষভাবে তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
অর্থসংবাদ/এমআই