২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলেও কানাডায় শুল্কমুক্ত বাজারের সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। ২০৩৪ সাল পর্যন্ত কানাডার বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকবে।
২০০৩ সাল থেকে লিস্ট-ডেভেলপমেন্ট কান্ট্রি ট্যারিফ (এলডিসিটি) স্কিমের আওতায় কানাডায় শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ। এলডিসিটি স্কিম জিপিটির আওতায় পড়ে যা প্রতি ১০ বছর পর নবায়ন করা হচ্ছে।জেনারেল প্রেফারেনশিয়াল ট্যারিফ (জিপিটি) স্কিমটির বর্তমান সংস্করণের মেয়াদ ২০২৪ সালে শেষ হবে।
কানাডা সরকার উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জিপিটি স্কিমের আওতায় শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ স্কিমের আওতায় তৈরিপোশাক উৎপাদনের নিয়ম শিথিলসহ অন্যান্য পণ্যেও শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে কানাডায়। শিল্পের শ্রম ও পরিবেশগত কমপ্লায়েন্সের ওপর ভিত্তি করে কানাডার বাজার প্রবেশাধিকার সুবিধাগুলোকে সম্প্রসারিত করার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।
এ নিয়ে দেশের তৈরিপোশাক শিল্প মালিক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র একজন পরিচালক জানান, কানাডা বাংলাদেশের তৈরিপোশাকের অন্যতম বড় বাজার। গত ৮ জুন কানাডা সরকার একটি ফাইন্যান্স বিল পাস করেছে। সে বিলে জিপিটি স্কিমের মেয়াদ ২০৩৪ সালের শেষ পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য সুখবর দিল দেশটি। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশটিতে আরও রপ্তানি বাড়াবেন শিল্প মালিকরা।
অর্থসংবাদ/এসএম