এসময় দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষ করে আইসিটি খাতের উন্নয়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন তারা। প্রতিমন্ত্রী জিটুজি এবং বিটুবি ম্যাচ মেকিংয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবসায়ীদের আইটি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোগে স্মার্ট সিটি বাস্তবায়ন, বাংলাদেশ-কোরিয়া আইসিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, স্টার্ট-আপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম, প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির উদ্দেশ্যে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতায় দেশের আইসিটি খাতকে সমৃদ্ধ করতে এরই মধ্যে ইআরডিতে পাঠানো ৭টি প্রকল্প প্রস্তাব বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করেছি। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি এ চারটি মূল স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ শুরু করেছি।
রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক প্রস্তাবিত প্রকল্পসমূহের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেন এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
এসময় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরউল্লাহ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার, আইসিটি বিভাগের উপসচিব মো. মনির হোসেন, ইডিজিই প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার আব্দুল বারি তুষারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।