গতকাল এমসিসিআইয়ের আলোচনায় পেনশন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা এমনটাই জানান।
জানা যায়, একজন চাঁদাদাতা নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা, বাড়ি নির্মাণ বা মেরামত ও সন্তানের বিয়ের খরচের জন্য পেনশন বাবদ জমাকৃত অর্থের ৫০ শতাংশ ঋণ হিসেবে নিতে পারবেন। যা পেনশন কর্তৃপক্ষের ধার্য করা ফিসহ সর্বোচ্চ ২৪ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন থেকে কর কাটবে না সরকার
তাঁরা আরও জানান, বর্তমানে চারটি কর্মসূচি বা স্কিমের মাধ্যমে পেনশন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া যাচ্ছে। তার মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রগতি কর্মসূচিতে (বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য) বেশি সাড়া মিলছে। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য চালু হওয়া সমতা কর্মসূচিতে চাঁদাদাতা দেবেন ৫০০ টাকা। বাকি ৫০০ টাকা দেবে সরকার। যাঁদের বার্ষিক আয় ৬০ হাজার টাকার কম, তাঁরা এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন। তবে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির অধীনে থাকা ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ যাঁরা বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা পাচ্ছেন, তাঁরা এই সমতা কর্মসূচির বাইরে থাকবেন আপাতত।
অন্যদিকে প্রবাসীদের জন্য চালু হওয়া প্রবাস কর্মসূচিতে বর্তমানে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডধারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই কর্মসূচিতে নিবন্ধন ও চাঁদা দিতে পারছেন। ভবিষ্যতে অন্যরাও পারবেন। মার্কিন ডলারে পেনশনের চাঁদা দেওয়ায় আড়াই শতাংশ প্রণোদনা পাবেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। কখনো যদি তাঁরা স্থায়ীভাবে দেশে ফিরে আসেন, তাহলে পেনশন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। তাহলে তিনি টাকায় কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন।
অর্থসংবাদ/এমআই