জলাধার আইন লঙ্ঘনের দায়ে সর্বোচ্চ আদালত ১৫ তলা বিশিষ্ট বিজিএমইএ ভবন ভাঙার আদেশ দেওয়ার পর গত এপ্রিলে ভবনটি ভাঙা এবং ভবনের ব্যবহারযোগ্য মালপত্র কিনতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এর আগে বিজিএমইএ ভবনকে হাতিরঝিল প্রকল্পের 'ক্যান্সার' আখ্যায়িত করে হাইকোর্ট ২০১১ সালে এক রায়ে ইমারতটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। আপিলে নিজেদের পক্ষে রায় না পাওয়ার পর তিন দফা সময় প্রার্থনা করে ভবনটির মূল মালিক তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ।
সর্বশেষ আদালতের দেওয়া সময়সীমা গত ১২ এপ্রিল শেষ হয়। এরপর ১৫ এপ্রিল বিজিএমইএ ভবনের মালপত্র সরিয়ে নিতে একদিন সময় বেঁধে দেয় রাজউক। পরে সময় বাড়ানো হয় আরও কয়েক দিন। ভবনে থাকা বিজিএমইএসহ ১৯টি প্রতিষ্ঠান তাদের মালপত্র সরিয়ে নিলে ভবনটি সিলগালা করে দেয় রাজউক। এরপর থেকে গত ৯ মাস ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।