চায়ের উৎপাদন বাড়লেও রফতানিতে নেই সুখবর

চায়ের উৎপাদন বাড়লেও রফতানিতে নেই সুখবর
জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চা উৎপাদনের ভরা মৌসুম ধরা হয়। এই সময়ে চায়ের উৎপাদন বেশি হলে সাধারণত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করে বাংলাদেশ চা বোর্ড। চলতি বছর দেশে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ কোটি ২০ লাখ কেজি । জুলাই পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ৪ কোটি ৯৬ হাজার কেজি। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ বা ১৭ লাখ ৬৬ হাজার কেজি বেশি উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু উৎপাদন বাড়লেও রফতানিতে পিছিয়েছে বাংলাদেশ।

বিশ্বের প্রধান চা রফতানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ছিল অন্যতম। কিন্তু এখনও চা রফতানিতে বেশ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। চা বোর্ডের তথ্যে এই চিত্র ফুটে উঠেছে।

তথ্য অনুযায়ী, ২০০১ সালে বাংলাদেশ ১ কোটি ২০ লাখ কেজি চা রফতানি করেছে। ২০১০ সালে তা ৯ লাখ কেজিতে নেমে আসে। ২০২১ সালে তা আরও কমে গিয়ে দাঁড়ায় ৬ লাখ ৮০ হাজার কিলোগ্রাম। এককালে চা রফতানি করে যেখানে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যেতো সেখানে হতাশায় ডুবেছে এই খাত।

বিশ্ব রফতানি পরিসংখ্যান অনুযায়ী রফতানিতে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৭তম। বেশ কিছু কারণে চা রফতানিকারক উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-লেটার অব ক্রেডিটের আওতায় বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে আমদানিকারকদের ব্যাংকের দীর্ঘসূত্রতার কারণে রফতানিকারক ব্যাংক তাদের বিল দেরিতে গ্রহণ করেন। এর পাশাপাশি কাঙিক্ষত বিনিময় মূল্য পাওয়া যায় না।

অর্থসংবাদ/এমআই

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ