জানাজায় অংশগ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা । পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
জানাজা শেষে মরদেহ মিরপুরে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহবুবে আলম ইন্তেকাল করেন। করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হওয়ার পর হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তার।
২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বে নিযুক্ত হন তিনি। ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেল পদে পাঁচ বছর পূর্ণ হয় তার। এরপর আরেক দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে তাকে এই পদে বহাল রাখা হয়। আমৃত্যু তিনি এই দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত দীর্ঘ মেয়াদে আর কোনো অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালনের রেকর্ড নেই।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলা, সংবিধানের পঞ্চম, সপ্তম ও ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলা, আবদুল কাদের মোল্লা, মতিউর রহমান নিজামী, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মতো মানবতাবিরোধী অপরাধীদের মামলা, পিলখানা হত্যা মামলার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলা রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেছেন মাহবুবে আলম।