বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিকারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় এ কথা জানান তিনি।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, স্যালাইনের গায়ে থাকা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের চেয়ে এক টাকাও বেশি বিক্রি করা যাবে না। আমি স্পষ্টভাবে এটি সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিতে চাই। এরপরও যদি কেউ বেশি দামে স্যালাইন বিক্রি করেন, তাহলে আমরা আমাদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের কথা স্পষ্ট- এমআরপি বা স্যালাইনের গায়ে যে দাম লেখা সেটি হবে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য। এর বাইরে এক টাকাও বেশি বিক্রি করা যাবে না।
সভায় স্যালাইনের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।
তাদের উদ্দেশ্যে ভোক্তার ডিজি বলেন, আপনাদের কথা শুনব, তবে কৃত্রিম সংকটের কথা বলে বাড়তি দাম নেয়া যাবে না।
ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোই স্যালাইনের সোর্স উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্যালাইন তো আর ভ্যানে বিক্রি হয় না। ডিস্ট্রিবিউশন চেইনের মাধ্যমে ফার্মেসিতে বিক্রি হয়। তাহলে এটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত। এটা কিন্তু ডাব বা কাঁচা মরিচ না। সেক্ষেত্রে এমআরপি লেখা আছে ৮৭ বা ৮৮ টাকা। যতক্ষণ মজুত আছে, ততক্ষণ সেই দামেই বিক্রি করতে হবে। স্যালাইন কম আছে আর চাহিদা বেশি আছে, এই সুযোগে দাম বাড়ানো যাবে না।
ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক বলেন, আইন অনুযায়ী ভোক্তা যদি প্রতারিত হয় বা অতিরিক্ত মুনাফা যদি তার কাছ থেকে আদায় করা হয়, তাহলে অভিযুক্তরা যারাই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আমাদের দায়িত্ব।