এই চ্যানেলে কী কী সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা এবং কীভাবে ব্যবহার করবেন তা মার্ক জাকারবার্গ নিজেই জানিয়েছেন। ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে এর পরিচয় করিয়েছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, চ্যানেল ফিচারের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ তার অ্যাপের অন্দরেই একটি নতুন মেনু অপশন তৈরি করেছে, যার নাম ‘আপডেটস’।
এই আপডেট হলো হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস এবং চ্যানেল দুইয়েরই ঘর। আর সেই কারণেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল আপডেট অনেকটাই আলাদা হতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের থেকে। চ্যানেল অ্যাডমিনদের হাতে থাকবে বিশেষ ক্ষমতাভার- সেই চ্যানেলে কারা যোগ দিতে পারবেন আর কারা পারবেন না, সেই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করার। তবে চ্যানেল অ্যাডমিনরা ফলোয়ারের ফোন নম্বর বা প্রোফাইল পিক অ্যাক্সেস করতে পারবেন। আবার তার ঠিক উল্টোটাও সম্ভব হবে না।
এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল আসলে ওয়ান-ওয়ে ব্রডকাস্ট টুল , যেখানে অ্যাডমিনরা ছবি থেকে শুরু করে ভিডিও, স্টিকার্স এবং পোল পোস্ট করতে পারবেন। একজন ব্যবহারকারী যখন নির্দিষ্ট একটি চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করবেন, তারা আলাদা একটি ট্যাবে সব কনটেন্ট দেখতে পাবেন। কেউ কেউ আবার এই সব চ্যানেলগুলোতে যোগ দিতে পারেন অন্য কারও আমন্ত্রণের ভিত্তিতে এবং হোয়াটসঅ্যাপে সেই নির্দিষ্ট চ্যানেলটি সার্চ করেও।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে একটা মেসেজ এক মাস বা ৩০ দিনের জন্য স্থায়ী থাকে। যদিও এই মুহূর্তে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের সব মেসেজগুলো এন্ড টু এন্ড এনক্রিপ্টেড নয়। শিগগির চ্যানেলে আগত সব মিডিয়া ও মেসেজের জন্য এনক্রিপশন যোগ করা হবে বলে জানিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি।
অর্থসংবাদ/এমআই