দিল্লি ক্যাপিটালসের ইনিংসে রশিদের ৪ ওভারের কোটা শেষ হয় ১৭তম ওভারে। এরপর শেষ ১৮ বলে জয়ের জন্য ৪৪ রান দরকার ছিল দিল্লির। উইকেটে মার্কাস স্টয়নিস ও অক্ষয় প্যাটেল। এই বাকি ৩ ওভারে ২৮ রান তুলতে পেরেছে দিল্লি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অবশ্য জয়ের সুবাস পেয়েছে তার আগেই। সেটি রশিদ খানের কল্যাণে।
৪ উইকেটে ১৬২ রানের পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে নেমে একটু চাপের মধ্যেই ছিলেন সানরাইজার্সের বোলাররা। টি-টোয়েন্টিতে এ লক্ষ্য তো তেমন কঠিন কিছু না। প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ে শিখর ধাওয়ান, শিমরন হেটমায়ার, পৃথ্বী শ, ঋষভ পন্তরা থাকলে পুঁজিটা আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু রশিদ খানের ঘূর্ণিতে ঝুঁকিটা আর থাকেনি।
গুগলি-লেগ স্পিনের বৈচিত্র্যে দুর্দান্ত বল করা রশিদকে প্রায় খেলতেই পারেননি দিল্লির কোনো ব্যাটসম্যান। ৪ ওভারে ১৪ রানে ৩ উইকেট—এই হলো দিল্লি-সানরাইজার্স ম্যাচে রশিদের পারফরম্যান্স। তাঁর বলে মাত্র এক চার মারতে পেরেছেন দিল্লির ব্যাটসম্যানরা। রশিদের ঘূর্ণিতে দিল্লির ব্যাটসম্যানদের গলায় আটকে থাকা ফাঁসটা অন্য প্রান্ত থেকে আরও টান টান করার চেষ্টা করেছেন ভুবনেশ্বর কুমার ও নটরঞ্জনরা। আজ ৬টি ইয়র্কার মেরেছেন সানরাইজার্স পেসার নটরঞ্জন (৪-২৫-১)। এবার আইপিএলে এ পর্যন্ত কোনো বোলারের এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ইয়র্কার মারার নজির। এতে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৭ রানেই থেমেছে দিল্লির ইনিংস। সানরাইজার্সের ১৫ রানের এ জয়ে ম্যাচসেরাও রশিদ খান।
এক হেটমায়ার ছাড়া দিল্লির কোনো ব্যাটসম্যানই টি-টোয়েন্টির মেজাজে ব্যাট করতে পারেননি। হেটমায়ার এসে ১২ বলে ২১ রান করলেও ম্যাচ থেকে ততক্ষণে বেশ পিছিয়ে পড়েছে দিল্লি। তার আগে শিখর ধাওয়ানের ৩১ বলে ৩৪, ঋষভ পন্তের ২৭ বলে ২৮ রান দিল্লি সমর্থকদের শুধু আক্ষেপই বাড়াবে। শুরুর প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে আরেকটু চালিয়ে খেললে শেষ দিকে ব্যাটসম্যানদের ওপর চাপটা কম হতো। প্রথম ১০ ওভার শেষে দিল্লির সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৫৪, যেখানে সানরাইজার্সের ইনিংসে উঠেছে ২ উইকেটে ৮২।
দিল্লির ব্যাটিংয়ে মেরুদণ্ড ধাওয়ান, ঋষভ ও অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ারকে তুলে নেন রশিদ। এর আগে সানরাইজার্সের হয়ে ৩৩ বলে ৪৫ রান করেন ডেভিড ওয়ার্নার। ৪৮ বলে ৫৩ রান করেন জনি বেয়ারস্টো। শেষ দিকে ২৬ বলে ৪১ রান করে ঝড় তুলেছিলেন কেন উইলিয়ামসন।