দেশে প্রথমবারের মতো সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর এক মাস পূর্ণ হয়েছে রবিবার (১৭ই সেপ্টেম্বর)। গত আগস্টের ১৭ তারিখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করেন।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত কিস্তির টাকা জমা দিয়ে বিভিন্ন স্কিমে নিবন্ধন নিয়েছেন ১২ হাজার ৯৭০ জন। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত পেনশন স্কিমে যুক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৯৭০ জন। নিবন্ধন হিসাব করলে সংখ্যা অনেক বেশি হবে, তবে আমরা শুধু নিবন্ধনের হিসাব আমলে নিচ্ছি না। টাকা জমা দিয়ে আক্ষরিক অর্থে যারা যুক্ত হয়েছেন তাদের হিসাব নিচ্ছি।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে এখন আছে মোট চারটি ধরন- প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা। এর মধ্যে প্রগতি স্কিমে ছয় হাজার ১৭৬ টি অ্যাকাউন্ট চালু হয়েছে, যা পেনশন স্কিমের মোট অ্যাকাউন্টের প্রায় অর্ধেক।
গোলাম মোস্তফা বলেন, এ মূহুর্তে অ্যাকাউন্ট খোলার চাইতে পেনশন স্কিম নিয়ে সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছানোটাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলেন, এক মাস কিন্তু খুব বেশি সময় না। একদম প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত যদি মানুষের কাছে পৌঁছাতে না পারি, প্রবাসীদের কাছে যদি পৌঁছাতে না পারি, তাহলে তো আমাদের খুব বেশি প্রত্যাশার সুযোগ নেই।
জানা যায়, পেনশন স্কিম জনপ্রিয় করতে নানা উপায় বেছে নিয়েছে পেনশন কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বিদেশি মিশনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রবাসীদের স্কিমে নিবন্ধন বাড়াতে চেষ্টা করা হচ্ছে।
শুরুর দিকে মানুষের মধ্যে পেনশন স্কিম নিয়ে যে আগ্রহ ছিল তা কিছুটা কমে গেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, মানুষ যখন বুঝবে এ রকম স্কিমে তার অর্থ সুরক্ষিত, কোন সমস্যা হবে না, তখন এমনি আগ্রহ বাড়বে।
অর্থসংবাদ/এসএম