এতে বলা হয়, আগস্টে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রপ্তানি করে ১ হাজার ৭১০ কোটি ডলার আয় করেছে রাশিয়া। জুলাইয়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ১৮০ কোটি ডলার।
তথ্য বলছে, আগস্টে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮০-৮৫ ডলারের গণ্ডি স্পর্শ করে। সৌদি আরব ও রাশিয়া উত্তোলন কমানোর সময়সীমা আরো বাড়ালে চলতি মাসে তা ৯০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এমন মূল্যবৃদ্ধি রাশিয়ার জ্বালানি তেল রপ্তানি আয় বাড়ার পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে।
তবে আয় বাড়লেও গত মাসে দেশটির রপ্তানির পরিমাণ কমেছে। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার দেয়া তথ্য বলছে, আগস্টে রাশিয়ার দৈনিক রপ্তানি ১ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল করে কমে যায়। মোট দৈনিক রফতানির পরিমাণ দাঁড়ায় ৭২ লাখ ব্যারেলে। ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি দৈনিক ৫ লাখ ৭০ ব্যারেল করে কমেছে।
আগস্টে ভারত ও চীনে রুশ জ্বালানি তেল রপ্তানি কমে দৈনিক ৩৯ লাখ ব্যারেলে ঠেকেছে, এপ্রিল ও মে মাসে যা ছিল ৪৭ লাখ ব্যারেল। তবে মোট রপ্তানির অর্ধেকেরও বেশি গেছে এ দুই দেশে।
রুশ অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, আগস্টে রাশিয়ার বাজার আদর্শ জ্বালানি তেল উরালের গড় দাম দাঁড়ায় ব্যারেলপ্রতি ৭৪ ডলারে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দাম কিছুটা কমেছে। তবে এ দাম জি৭ ভুক্ত দেশগুলোর বেঁধে দেয়া মূল্যসীমা ৬০ ডলারের চেয়ে অনেক বেশি। এছাড়া জুলাইয়ের চেয়েও উরাল ক্রুডের দাম লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। ওই মাসে প্রতি ব্যারেল উরাল ক্রুড রপ্তানি হয়েছে গড়ে ৬৪ ডলার ৩৭ সেন্টে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে প্রতি ব্যারেল উরালের গড় দাম ছিল ৫৬ ডলার ৫৮ সেন্ট, আগস্টে যা ৭০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। টানা দুই মাস ধরে জি৭ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেয়া মূল্যসীমার বেশি দামে উরাল ক্রুড রপ্তানি করছে রাশিয়া।
যে মাসে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয়, সে মাস থেকেই পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার সরকার ও অলিগার্কদের ওপর একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এসব নিষেধাজ্ঞায় দেশটির জন্য জ্বালানি তেল রপ্তানি করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ওপর ঘোষণা করা হয় প্রাইস ক্যাপ। এতে প্রতি ব্যারেলের মূল্য সর্বোচ্চ ৬০ ডলার বেঁধে দেয়া হয়। পাল্টা জবাবে রাশিয়া এসব দেশে জ্বালানি তেল ও জ্বালানি পণ্য সরবরাহ কমিয়ে দেয়। দেশটি এ সময় বিকল্প বাজার খুঁজতে শুরু করে। আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রেতা আকর্ষণে দেশটি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামে উল্লেখযোগ্য হারে মূল্যছাড় দেয়। আর এ সুযোগ কাজে লাগায় এশিয়ার মূল্যসংবেদনশীল ক্রেতা দেশগুলো।
অর্থসংবাদ/এসএম