ওয়েল্ডিং, প্লাম্বিং, অটোমোবাইল, ইলেকট্রিশিয়ান ও এসি মেকানিক- প্রাথমিকভাবে এই পাঁচ খাতকে কেন্দ্র করে এসভিপি কর্মসূচি হাতে নেয় সৌদি আরব।
চলতি বছর ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এসভিপি নামে পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালুর ঘোষণা দিয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান এক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচটি খাতে এসব কর্মীর দক্ষতা যাচাইয়ে সনদ নেওয়া বাধ্যতামূলক করার কথা জানান।
পরে এসভিপির আওতায় নির্মাণ শ্রমিক, টাইলস মিস্ত্রী, গাড়ি মেরামতকারী ও গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীদের- অর্থাৎ আরও ৪ পেশার কর্মীদের এতে যুক্ত হয় বলে আরব নিউজ জানিয়েছে।
আর তাই সৌদি আরবে দক্ষ কর্মী পাঠানোর বিষয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে সরকার। সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে জনশক্তি রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
আরব নিউজ বলছে, দক্ষতা যাচাই কর্মসূচিকে বাংলাদেশের শ্রমিকরা ক্যারিয়ারের জন্য সহায়ক বলে মনে করছেন। বাংলাদেশ শুধু সৌদি আরব নয়, অন্য দেশেও পাঠাতে দক্ষ কর্মী তৈরি করছে।
বিএমইটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক আনোয়ার পাশা আরব নিউজকে বলেন, সৌদি আরবসহ অন্য চাকরির বাজারের চাহিদা মেটাতে দক্ষ কর্মী বাহিনী তৈরি করছি আমরা। প্রায় ১৫০টি কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে সম্ভাব্য অভিবাসী কর্মীদের প্রশিক্ষণ চলছে এবং দেশজুড়ে তৃণমূল পর্যায়ে আরও কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে।
এদিকে ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, কর্মদক্ষতা বাড়াতে এবং কর্মীদের উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দক্ষতা যাচাই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। দক্ষ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য উন্নততর কাজের সুযোগ তৈরি করবে বিনাখরচের এই উদ্যোগ। শুধু সৌদি আরব নয়, উপসাগরীয় ‘বৃহত্তর বাজারে’ বাংলাদেশের জনশক্তিকে প্রতিযোগিতাসক্ষম করে গড়ে তুল এই উদ্যোগ। বিবৃতিতে বলা হয়, এই কর্মসূচির আওতায় দক্ষ কর্মীরা বিদেশে কাজ করুক বা ফিরে আসুক- এই প্রশিক্ষণ বাংলাদেশিদের ওপর এক ধরনের বিনিয়োগ।
বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীদের বেশিরভাগই সৌদি আরবে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বসবাস করছেন অভিবাসীদের প্রায় অর্ধেক, যার সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ বলে দূতাবাস জানায়।
সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের শীর্ষ উৎস ছিল সৌদি আরব। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, একবছরে এদেশ থেকে অভিবাসী কর্মীরা ৩৮০ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন।
অর্থসংবাদ/এসএম