প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত দু’দেশের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের অগ্রযাত্রা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে বুধবার এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রে ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স-সংক্রান্ত আন্ডার সেক্রেটারি ফর স্টেট কিথ ক্রাচ নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বুধবার এসব তথ্য জানানো হয়।
আলোচনায় সালমান এফ রহমান দু’দেশের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন। বাংলাদেশ প্রতিবেশী, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শীর্ষ দেশগুলোর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে অর্থনৈতিক কূটনীতি অব্যাহত রাখবে বলে তিনি জানান।
তিনি দু’দেশের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধিতে বিদ্যমান এবং নতুন উদ্যোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহকে স্বাগত জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে বিশেষ করে নভেল করোনাভাইরাস মহামারী (কোভিড-১৯) প্রেক্ষাপটে জনস্বাস্থ্য সহযোগিতা শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি, নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল নীতি, আইসিটি, সুনীল অর্থনীতি, জ্বালানি, রেল-সড়কসহ অন্যান্য কানেক্টিভিটি বা সংযোগ বৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রকে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়।
মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ক্রাচ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে মার্কিন পণ্য ও সেবার জন্য বৃহৎ জনগোষ্ঠী, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বড় মধ্যবিত্ত শ্রেণিসহ ব্যাপক বাজার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে।
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাও রয়েছে বলেও তিনি জানান।