গতকাল বুধবার এডিবির সঙ্গে সরকারের এ চুক্তি হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান ও এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং চুক্তি সই করেন।
এডিমন গিন্টিং বলেছেন, এ প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্তিমূলক, সামগ্রিক ও অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর টেকসই ও ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করা হবে। লক্ষ্য হচ্ছে, ২০৩১ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর কৃষিজমিতে ফসল উৎপাদন অন্তত ৫০ শতাংশ বাড়ানো এবং ৫৭ হাজার পরিবারে নারীদের পানি পরিবহনের সময় অর্ধেক কমিয়ে আনা। সেই সঙ্গে প্রকল্পের অর্থায়নে নির্মিত সড়কে চলাচলের সময় অর্ধেক কমিয়ে আনাও এর লক্ষ্য।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি—এই তিন পার্বত্য জেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। গ্রামের প্রবেশপথ উন্নত করা, পানি সরবরাহের উৎস এবং স্যানিটেশন পরিষেবার বিকাশ, ছাদে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন ও কৃষিসুবিধা স্থাপনে সহায়তা করা হবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে।
এ ছাড়া এ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমির টেকসই ব্যবহার ও খাদ্যনিরাপত্তা বৃদ্ধিতে জলবায়ুর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কৃষিব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করা হবে। সে লক্ষ্যে কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
অর্থসংবাদ/এমআই