শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-১ এর শাহআলী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, খাসির মাংস আগের মতোই ১১০০ টাকা ও গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, লেয়ার মুরগি ৩১৫ টাকা, পাকিস্তানি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এবং দেশি মুরগি আগের মতোই ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রূপচাঁদা কেজি ১০৫০ টাকা, পাঙাশ ২৫০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০-৩৮০ টাকা, কাতল কেজি ৪৫০ টাকা, কই মাছ ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৮০ টাকা, পাবদা মাছ ৪৫০ টাকা, শিং মাছ ৫০০-৫৫০ টাকা এবং চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির দাম বাড়ার প্রসঙ্গে মুরগি ব্যবসায়ী পাভেল হোসেন বলেন, মুরগির দাম প্রতিদিনই কমে-বাড়ে। পাইকারি বাজার থেকে একেক দিন একেক দর নির্ধারণ হয়। এর বেশি কিছু আমি জানি না। পাইকারি বাজার থেকে মুরগি কিনে এনে দোকানে বিক্রি করি।
বর্তমান ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিম্ন থেকে মধ্যবিত্তরা মুরগির মাংসটি বেশি কিনে থাকেন। যে মাংস একটা সময় ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি ধরে পাওয়া যেত, সেটি এখন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত হয়েছে। এতে করে বেকায়দায় পড়েছেন ওইসব মানুষেরা।
ক্রেতা খবির ইসলাম তালুকদার বলেন, গত সপ্তাহে মুরগি কিনেছিলাম ১৭৫ টাকা কেজি দরে। আজকে সেটি ২০০ টাকা দাবি করছে। অবশেষে দামাদামি করে ১৯৫ টাকা কেজি দরে আড়াই কেজি মুরগি কিনলাম। এক সপ্তাহ থেকে আরেক সপ্তাহ পর্যন্ত কোনো কিছুর দাম বাজারে স্থির থাকছে না। এটা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় অসুবিধার বিষয়। বাজারে কোনো সবজির দাম ৬০ টাকার নিচে নেই। সুতরাং যার যাই কিছুই হোক না কেন কষ্টটা আমাদেরই হয়। এই কষ্ট বোঝার কেউ নেই।
অর্থসংবাদ/এসএম