জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে নাগরিক ভোগান্তি দূর করা হবে

জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে নাগরিক ভোগান্তি দূর করা হবে

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবায় নাগরিক ভোগান্তি দূর করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।


তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন, সব বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে বাংলাদেশ যখন সবার কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। এমন সময় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবায় কোনো ধরনের ভোগান্তি মেনে নেওয়া যায় না। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবায় কোথায় ঘাটতি বা সীমাবদ্ধতা রয়েছে তা চিহ্নিত করতে আজকের এই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা।’


সোমবার (৯ অক্টোবর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ে সার্বিক পর্যালোচনা বিষয়ক এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।


সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. রাশেদুল হাসান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. মিজানুর রহমান। এ সময় তথ্য ও প্রযুক্তিবিভাগের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


এতে জানানো হয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সার্ভারের ক্যাপাসিটি কম থাকায় সেবা পেতে নাগরিকদের বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এ সময় ন্যারো গেটওয়ে সম্প্রসারণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে জানানো হয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সার্ভারের প্রতিদিন অন্তত ৫০ হাজার নিবন্ধন সম্পন্ন করার ক্ষমতা থাকা উচিত, যা বর্তমানে ১৭ হাজার।


সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং কাউন্সিল, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, ডিপার্টমেন্ট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি এবং জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের সাত প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন করবে। এই কমিটি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবায় প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য পরামর্শ দেবে। এছাড়া জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবায় সার্ভারের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি, সফটওয়্যার ডিজাইন এবং ডাটাবেজ তৈরির পরামর্শ দেবে এই কমিটি।


তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ সময় প্রস্তাব রাখেন, কমিটির রিপোর্টের পর আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়কে প্রযুক্তিগত সহায়তা করবে আইসিটি বিভাগ।


সভায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের অর্গানোগ্রাম বা লোকবল কাঠামোকে সময় উপযোগী করে গড়ে তোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় নাগরিক ভোগান্তি পরিহারে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবা চলমান রেখে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন শেষ করার নির্দেশ দেন।


অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু