তিনি বলেন, আমরাও কিন্তু মুদ্রাস্ফীতি কিংবা অর্থনৈতিক মন্দার বাইরে না। আমাদের ওপরও এসব ধাক্কা আসে। আর সব জিনিস তো আমরা তৈরি বা উৎপাদন করতে পারি না। এ কারণেই আমি সকলকে আহ্বান করেছিলাম কোথাও যেন এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না থাকে। যে যা পারেন উৎপাদন করবেন। আমাদের খাদ্য আমরা নিজেরাই উৎপাদন করবো।
বুধবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত গোপালগঞ্জ জেলা, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশে ঘুরেছি। সেখানে দেখেছি দ্রব্যমূল্যের কী পরিমাণ দাম। আমাদের মানুষ দক্ষ। আমরা যদি চেষ্টা করি তাহলে নিজেদের খাবার উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করতে পারব। ইতোমধ্যে বিদেশে কিছুটা যাচ্ছে। এই খাদ্য কীভাবে আমরা সংরক্ষণ করতে পারি সে ব্যাপারেও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর আমরা এভাবেই দেশের উন্নয়নের নিশ্চয়তা দিচ্ছি। তাছাড়া শিক্ষাদীক্ষা সবদিক থেকেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। কমিউনিটি ক্লিনিকসহ ফ্রিতে ওষুধ দিচ্ছি। মানুষের কল্যাণে যা যা করার সবই করছি।
মতবিনিময় সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে সরকারপ্রধানের। এর আগে আজ বেলা ১১টার দিকে টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়ি থেকে প্রটোকল ভেঙে আধা কিলোমিটার হেঁটে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পৌঁছানোর পর স্থানীয় নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নেন।
অর্থসংবাদ/এমআই