এক হাজার ৯০৮ কোটি ৫৮ হাজার ৪৪০ টাকা ব্যয়ে ১৫টি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (১১ অক্টোবর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবগুলোর অনুমোন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, টেবিলে একটি প্রস্তাবসহ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ১৫টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৩টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৩টি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৩টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৩টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ২টি এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি টেবিলে উপস্থাপন করা হয়। ১৫টি প্রস্তাবই মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।
অনুমোদন দেওয়া ১৫টি প্রস্তাবের মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৯০৮ কোটি ৫৮ হাজার ৪৪০ টাকা। এর মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৪২০ কোটি ৮২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮৭ টাকা এবং দেশি ব্যাংক ও বৈদেশিক অর্থায়ন ১ হাজার ৪৮৭ কোটি ১৮ লাখ ১৯ হাজার ৭৫৩ টাকা।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুই প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রো-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করা এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) বাংলাদেশের কাছ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউনিয়া সার কেনা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব তিনটিও সার কেনা সংক্রান্ত। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৌদি আরবের মা’আদেন ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়ছে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি এস.এ এবং বিএডিসি’র মধ্যে স্বাক্ষরিত চুত্তির আওতায় দুটি লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন করে মোট ৬০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রস্তাবের মধ্যে দুটি ডাল কেনা এবং একটি সয়াবিন তেল কেনা সংক্রান্ত। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে উন্নুক্ত জরুরি দরপত্র পদ্ধতিতে ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল এবং আন্তর্জাতিকভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এছাড়া স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত পুনঃদরপত্র পদ্ধতিতে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রস্তাবই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের গ্রিন সিটি আবাসিক কমপ্লেক্সের ক্রয় প্রস্তাব। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তিনটি প্রস্তাবের মধ্যে দুটি জাইকার আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন মাতারবাড়ি কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের নির্মাণ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ব্যয় বৃদ্ধি সংক্রান্ত। অপরটি হলো গোপালগঞ্জ সড়ক নির্মাণ সংক্রান্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাব।
অর্থসংবাদ/এসএম