শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ‘ইকোনমিক আউটলুক ফর এশিয়া প্যাসিফিক’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের (এপিডি) পরিচালক (এপিডি) কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন।
বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ও আইএমএফের বার্ষিক সভা উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেন, ‘আমি মনে করি, কর্মসূচির উদ্দেশ্য পূরণ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং কঠিন বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিক পথে রয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (বাংলাদেশ) মূল্যস্ফীতি কমাতে মুদ্রানীতি কঠোর করেছে এবং নমনীয় বিনিময় হারের অনুমতি দিয়েছে।’
শ্রীনিবাসন উন্নয়ন ও অবকাঠামো উভয়ক্ষেত্রে লক্ষ্যসমূহ অর্জনে সহযোগিতার জন্য রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর ওপর জোর দেন। তিনি উল্লেখ করেন, বৈশ্বিক সংকটের কারণে বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের প্রতিটি দেশই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি দেশেরই প্রবৃদ্ধিবর্ধক সংস্কার এগিয়ে নিতে অবশ্যই তাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী বছরগুলোতে বহুপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার এবং ভূ-অর্থনৈতিক বিভক্তির প্রভাব প্রশমিত করা এশিয়ার অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সে লক্ষ্যে এ অঞ্চলে আরও বেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য সংস্কার, অশুল্ক বাণিজ্য বাধা হ্রাস, সংযোগ বাড়ানো এবং ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতি অপরিহার্য।
অর্থসংবাদ/বাসস/এসএম