রোববার (২২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
মুদ্রানীতি প্রণয়নে বর্তমানে ৯ সদস্যের কমিটি রয়েছে। এ কমিটির প্রধান গভর্নর। বাকী ৮ সদস্যের মধ্যে আছেন- চার ডেপুটি গভর্নর, প্রধান অর্থনীতিবিদ, বিএফআইইউ প্রধান, মুদ্রানীতি বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ও পরিচালক।
নতুন পুনর্গঠিত কমিটি হবে ৭ সদস্যের, যার প্রধানও হবেন গভর্নর। তবে নতুন কমিটিতে তিনজন ডেপুটি গভর্নরকে বাদ দিয়ে তাদের জায়গায় তিনজন বিশেষজ্ঞকে যুক্ত করা হচ্ছে। তারা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান, বিআইডিএসের মহাপরিচালক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ থেকে মনোনীতি একজন। অপর সদস্যের মধ্যে থাকবেন মুদ্রানীতি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালক ও পরিচালক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ অনেক দেশে মুদ্রানীতি কমিটিতে বাইরের বিশেষজ্ঞ রাখা হয়। এতে মুদ্রানীতির প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সহজ হয়। এ বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকও মুদ্রানীতি কমিটিতে বাইরের বিশেষজ্ঞ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে এর একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। সবশেষ গত ১৮ জুন চলতি অর্থবছরের (জুলাই-ডিসেম্বর) প্রথম ছয় মাসের মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন মুদ্রানীতি প্রণয়ণের আগে মুদ্রানীতি পলিসি কমিটি নিজেরা একাধিকবার বৈঠক করে স্বাধীনভাবে উপকরণগুলো ঠিক করে থাকে। এক্ষেত্রে স্টেকহোল্ডারদের মতামত নেওয়া ছাড়া অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়।
এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে চলতি অর্থবছর থেকে মুদ্রানীতির পরিচালন কাঠামোতেও ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। মুদ্রানীতি কাঠামোতে সুদহারের করিডোর প্রথা চালু করা হয়েছে। এর আওতায় সুদহার টার্গেটিং মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। অর্থাৎ মুদ্রানীতির অপারেটিং টার্গেট বা টুলস হিসেবে সুদের হারকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে বাজারে অর্থের যোগান নিয়ন্ত্রণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অর্থসংবাদ/এসএম